October 22, 2024, 8:51 pm

সংবাদ শিরোনাম :
খুলনা পাইকগাছায় বিগত এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৪ আহত ৫৬  কয়রায় এক নারী বাসা বাড়ি কাজ করতে করতে বর্তমানে চা বিক্রি করেই স্বাবলম্বী কয়রা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতির মতবিনিময় সভা  আন্তরজাতকি এয়ারট্রাফকি কন্‌ট্রালারূক্স ডে উদযাপন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলামকে গ্রেফতার ১৯তম জাতীয় ফার্নিচার মেলা শুরু রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় কেশবপুরে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ৮৯ টি মন্ডপে  দুর্গা পূজা সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হলো  ঋণখেলাপি তারেক চৌধুরী অপকর্মের শেষ কোথায়।অবৈধ ক্ষমতার দাপটে গড়ে তুলেছেন ক্যাডার বাহিনি বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় তিন গৃহকর্মী গ্রেফতার, ৩১ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন বেবিচক চেয়ারম্যান

বিএনপির আইনজীবীরা আদালত অবমাননা করেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের হট্টগোলকে নজিরবিহীন ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এই হট্টগোল করে বিএনপির আইনজীবীরা আদালতে অবমাননা করেছেন বলে মন্তব্য করেছে অ্যাটর্নি জেনারেল।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে একথা বলেন তিনি। আদালতে বিএনপির আইজীবীদের হট্টগোলের প্রতিবাদে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আজ বিএনপির আইনজীবীরা আদালতে যা করল তা আমার জীবনে কখনো দেখিনি। এটি আদালত অবমাননার সামিল।’

মাহবুবে আলম বলেন, জনসভায় যেরকম হট্টগোল হয় আদালতে সেরকম হইচই শুরু করেন বিএনপির আইনজীবীরা। এটি নজিরবিহীন, এমনটি মেনে নেয়া যায় না।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বাইরের আন্দোলনকে এজলাসে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা, যেটি কোনো অবস্থাতেই কাম্য নয়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের বেঞ্চে খালেদার জামিন নিয়ে শুনানি শুরু হয়।

শুনানির শুরুতে অ‌্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতকে জানান, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ‌্য বিষয়ক রিপোর্ট তৈরি হয়নি। আরও কয়েকদিন সময় প্রয়োজন। এর বিরোধিতা করে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সঙ্কটাপূর্ণ। তার আগে জামিনের ব‌্যবস্থা করুন।’

এ অবস্থায় আপিল বিভাগ মেডিকে‌ল প্রতিবেদন দাখিলের জন‌্য এবং পরবর্তী শুনানির জন‌্য ১২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।

তখন আদালতে অবস্থানরত বিএনপির আইনজীবীরা এ আদেশ মানি না বলে উচ্চস্বরে কথা বলতে থাকেন। এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরও তাদের বক্তব‌্যের বিরোধিতা করলে দুই পক্ষে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।

বিএনপির আইজনীবীদের হট্টগোলের একপর্যায়ে বিচারপতিরা কোনো লিখিত আদেশ না দিয়ে এজলাস কক্ষ ত‌্যাগ করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আপিল বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। দুই পক্ষের আইনজীবীরাই এজলাস কক্ষে অবস্থান করছেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন